Pages

Sunday 18 October 2009

রাখালের কলাম : জঙ্গিবাদের চাইতে বড় বিপদ "মাওবাদ"

রাখালের কলাম____________
জঙ্গিবাদের চাইতে বড় বিপদ মাওবাদ!

হঠাৎতন্ত্রের দেশে, হঠাৎ করিয়াই দেখিতেছি, জঙ্গিবাদের চাইতে যেন মাওবাদই বড় বিপদ হিসাবে দেখা দিয়াছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসিবার পর অস্ত্রপাতিসহ জঙ্গি ধরার হিড়িক পরিয়া গিয়াছিল। সংবাদপত্র ও টিভি পর্দায় ছবিসহ লোমহর্ষক কাহিনী প্রকাশিত হইল। জঙ্গিবাদের বিপদের কথা বলিতে বলিতে মন্ত্রী-নেতারা মুখে ফেনা তুলিতে লাগিলেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়াছিল যে, বণিক সমিতির নেতা বলিলেন, এত কথা বলিলে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ জঙ্গিতে ভরা এই রূপ একটি ইমেজ দাঁড়াইতেছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী বিদেশে যাইবার ভিসা পর্যন্ত পাইতেছে না। এক্ষণে হঠাৎ করিয়াই যেন জঙ্গি লইয়া কথাবার্তা তেমন শুনিতে পারিতেছি না। বরং সংবাদপত্রে এই মর্মে খবর বাহির হইয়াছে যে, এত জঙ্গি ধরিবার পর উহারা কোথায় গেল? কি করিয়া জামিন পাইল এবং জামিন পাওয়ার পর অনেকেই উধাও হইয়া গেল, এইসব লইয়া নানা প্রশড়ব। সংবাদপত্রে দেখিয়াছিলাম জামালপুরে এক সাথে কয়েকজন জঙ্গি নারী ধরা পড়িয়াছিল। বিভিনড়ব পত্রিকায় তাহাদের ছবিও আসিয়াছে। শুনিলাম মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলের দু-একজন নেতা তাহাদের ছাড়াইয়া আনার ব্যবস্থা করিয়াছে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরও এইরূপ ঘটিয়াছে। অর্থ ও স্বার্থের বিনিময়ে যুদ্ধাপরাধীসহ কুখ্যাত রাজাকারদের রক্ষা করা হইয়াছে, তাহাদিগকে সমাজে পুনর্বাসিত করা হইয়াছে। অপরদিকে শহীদ তাজুলের মতো, ন্যাপ-কমিউনিস্ট পাটি-ছাত্র ইউনিয়নের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অনেককেই জীবনরক্ষার জন্য বনে-বাদাড়ে ঘুরিতে হইয়াছে।

কেহ কেহ জীবনও দিয়াছেন। অনেক ক্ষেত্রে নিরীহ লোকজনকে আটক করিয়া টাকা আদায় করা হইয়াছে। এইসবের পরিণতিতেই পাকিস্তানপন্থী, যুদ্ধাপরাধী রাজাকাররা ক্ষমতা দখল করিয়াছে। দেশবাসী জঙ্গিদের শাস্তি চায়। জঙ্গিদের নেটওয়ার্কের মূলোৎপাটন চায়, উহাদের

Sunday 4 October 2009

রাখালের কলাম : শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা লইতেছেন

রাখালের কলাম------------
শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা লইতেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলিয়াছেন, গণতন্ত্র নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র এখনও বন্ধ হয় নাই। গণতন্ত্র ব্যাহত ও নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চলিতেছে। অনেক লড়াই-সংগ্রাম করিয়া গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করিয়াছি। জনগণকে সজাগ থাকিতে হইবে, পুনরুদ্ধার করা গণতন্ত্র কেহ যেন আর হরণ করিতে না পারে। সবাই সতর্ক না থাকিলে বিডিআরের মতো অমানবিক ঘটনা আবারও ঘটিতে পারে। তবে জনগণের সহযোগিতা থাকিলে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করিয়া আমরা দেশকে আগাইয়া লইয়া যাইবই।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র’ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আনিত এক প্রস্তাবের উপর আলোচনা করিতে গিয়া শেখ হাসিনা এই কথা বলেন। তিনি বলেন, মিলিটারি ডিক্টেটররা ক্ষমতা দখল করে। রাষ্ট্র চালায়। বার বার এই ধরনের ঘটনার জন্য দেশ পিছাইয়া পড়িয়াছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোথাও কোনো নির্বাচিত সরকারকে মিলিটারি ডিক্টেটর উৎখাত করিতে পারিবে না এবং জনগণের অধিকার ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকার লইয়া ছিনিমিনি খেলা যাইবে না- জাতিসংঘের পক্ষ হইতে এমন একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হউক। শুধু বাংলাদেশেই নহে,সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়াও শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রের কথা বলিয়াছেন। এমনকি ইহাও বলিয়াছেন যে এক-এগারোর শক্তিরা আবারও ফিরিয়া আসিবার ষড়যন্ত্র করিতেছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যখন আনুষ্ঠানিকভাবে এই ধরনের কথা বলেন তখন তাহাকে নিছক ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ বলিয়া উড়াইয়া দেওয়া যায় না।
শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবেই সেনা শাসনের দিকে আঙ্গুলি নির্দেশ করিয়াছেন। বস্তুত বাংলাদেশের ৩৮ বৎসরের শাসনের বেশির ভাগ সময়ই ছিল সেনাশাসন। সরাসরি অথবা নেপথ্যে। সাবেক সেনাপ্রধান মঈন উ আহমেদ অবশ্য গর্ব করিয়া বলিয়াছিলেন,তিনি সেনা শাসন করিতে চাহেন নাই। সেনাবাহিনী অন্যান্য সরকারি সংস্থার মতোই নিজস্ব দায়িত্ব পালন করিয়াছে মাত্র। ইচ্ছা করিলেই তিনি ক্ষমতা দখল করিতে পারিতেন। করেন নাই। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়িয়া উঠা বাহিনী। ইহা পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নহে। দেশের মানুষ স্বাধীনতার পর