Pages

Sunday 4 October 2009

রাখালের কলাম : শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা লইতেছেন

রাখালের কলাম------------
শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা লইতেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলিয়াছেন, গণতন্ত্র নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র এখনও বন্ধ হয় নাই। গণতন্ত্র ব্যাহত ও নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চলিতেছে। অনেক লড়াই-সংগ্রাম করিয়া গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করিয়াছি। জনগণকে সজাগ থাকিতে হইবে, পুনরুদ্ধার করা গণতন্ত্র কেহ যেন আর হরণ করিতে না পারে। সবাই সতর্ক না থাকিলে বিডিআরের মতো অমানবিক ঘটনা আবারও ঘটিতে পারে। তবে জনগণের সহযোগিতা থাকিলে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করিয়া আমরা দেশকে আগাইয়া লইয়া যাইবই।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র’ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আনিত এক প্রস্তাবের উপর আলোচনা করিতে গিয়া শেখ হাসিনা এই কথা বলেন। তিনি বলেন, মিলিটারি ডিক্টেটররা ক্ষমতা দখল করে। রাষ্ট্র চালায়। বার বার এই ধরনের ঘটনার জন্য দেশ পিছাইয়া পড়িয়াছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোথাও কোনো নির্বাচিত সরকারকে মিলিটারি ডিক্টেটর উৎখাত করিতে পারিবে না এবং জনগণের অধিকার ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকার লইয়া ছিনিমিনি খেলা যাইবে না- জাতিসংঘের পক্ষ হইতে এমন একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হউক। শুধু বাংলাদেশেই নহে,সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়াও শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রের কথা বলিয়াছেন। এমনকি ইহাও বলিয়াছেন যে এক-এগারোর শক্তিরা আবারও ফিরিয়া আসিবার ষড়যন্ত্র করিতেছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যখন আনুষ্ঠানিকভাবে এই ধরনের কথা বলেন তখন তাহাকে নিছক ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ বলিয়া উড়াইয়া দেওয়া যায় না।
শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবেই সেনা শাসনের দিকে আঙ্গুলি নির্দেশ করিয়াছেন। বস্তুত বাংলাদেশের ৩৮ বৎসরের শাসনের বেশির ভাগ সময়ই ছিল সেনাশাসন। সরাসরি অথবা নেপথ্যে। সাবেক সেনাপ্রধান মঈন উ আহমেদ অবশ্য গর্ব করিয়া বলিয়াছিলেন,তিনি সেনা শাসন করিতে চাহেন নাই। সেনাবাহিনী অন্যান্য সরকারি সংস্থার মতোই নিজস্ব দায়িত্ব পালন করিয়াছে মাত্র। ইচ্ছা করিলেই তিনি ক্ষমতা দখল করিতে পারিতেন। করেন নাই। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়িয়া উঠা বাহিনী। ইহা পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নহে। দেশের মানুষ স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর নিকট এইরূপ আশাই করিয়াছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী মানে তাহার নাম,পোষাক ও অস্ত্রপাতি নহে। উহা একটি মতাদর্শ। একটি দৃষ্টিভঙ্গি। ২৪ বৎসরের পাকিস্তানি শাসন আমলে বার বার সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করিয়াছে। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকার বার বার সামরিক বাহিনীর বুটের তলায় পিষ্ট হইয়াছে। পাকসেনারা গণহত্যা চালাইয়াছে। শুধু বাংলাদেশে নহে খোদ পাকিস্তানের মাটিতে। ৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন হইবার পরও এই ধারা বজায় আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আজ দেশটিকে কোথায় নিয়া দাঁড় করাইয়াছে তাহা কাহারও অজানা নহে। বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর উপরও সেই পাকিস্তাতানি চিন্তাধারার প্রভাব দেখিয়াছি। আমরাই শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক, সুশৃঙ্খল, দক্ষ; আমরাই সবচাইতে ভাল জানি,সবচাইতে ভাল দেশ চালাইতে পারি। ‘ব্লাডি পলিটিয়াশানরা’ কিছুই জানে না-ইত্যকার মনোভাব তাহাদের অনেকের মধ্যেই দেখা গিয়াছে। মঈন উ আহমদ দেশের রাষ্ট্রপতি হইবার জন্য বহু কাঠখড় পুড়াইয়া ছিলেন। কিংস পার্টি করিবার জন্যও চেষ্টা করিয়াছিলেন। তাহার পূর্বসূরী জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং লে. জে এরশাদও তাই করিয়াছিলেন। মঈন উ আহমদের কথায় কিছুটা সত্যতা থাকিত যদি তিনি বলিতেন,তিনি ক্ষমতা দখল করিতে পারেন নাই। দেশি-বিদেশি নানা টানা পোড়েন এবং জনমতের চাপে এই বীর সিপাহ্সালারকে শেষ পর্যন্ত পিছটান দিতে হইয়াছিল। নির্বাচনের পরও নানা দেশি-বিদেশি লাইনটাইন করিয়া তিনি সেনা প্রধানের পদ আকড়াইয়া থাকিতে চাহিয়াছিলেন। পারেন নাই। সময় ও সুযোগ মত না জানি কাহাদের প্রশ্রয়ে তিনি কাটিয়া পড়িয়াছেন।
এক্ষণে থলের বিড়াল একে একে বাহির হইতেছে। সে সম্পর্কে গত ১৬ আগস্ট ২০০৯ তারিখে একতায় কিছুটা লিখিয়াছি। সব লেখাও যায় না। সবটুকু জানাও যায় না। কিছু কিছু খবর প্রকাশিত হইতেছে। রাজনীতিবিদ,শিক্ষক,ছাত্র,শ্রমিকদের উপর কিভাবে নিষ্ঠুর নির্যাতন চলিয়াছে,ব্যবসায়ী কয়েকজনকে গ্রেফতার করিয়া নির্যাতন ও চাঁদাবাজী সহ বহু ঘটনার কিছু কিছু প্রকাশিত হইতেছে। যাহারা এইসবের জন্য দায়ী তাহাদের কোনো বিচার হইবে বলিয়া কোনো আলামত দেখা যাইতেছে না। এরশাদের বিচার হইয়াছিল। শাস্তিও হইয়াছিল। কিন্তু পরবর্তী সময় কোনো অদৃশ্য সূতার টানে তাহার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা খারিজ হইয়া গিয়াছে। তিনি এখন বহাল তবিয়তে। তিনি একবার বলিয়াছিলেন স্বল্প সময়ের জন্য হইলেও তিনি আবারও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হইবেন। না জানি তিনি আবার কোন খেলা দেখাইবেন।
বিডিআরের মর্মন্তুদ ঘটনা আমরা দেখিয়াছি। ঐ ঘটনা হইতে বুঝিতে বাকি থাকে না ষড়যন্ত্রকারীদের হাত কতটা শক্তিশালী এবং বিস্তৃত। সেনাকুঞ্জে সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর সহিত কিরূপ ব্যবহার করা হইয়াছিল তাহা রেকর্ডিং করিয়া দেশ ও বিদেশে শোনান হইয়াছে। বিডিআরের ঘটনা যেমন ষড়যন্ত্র করিয়া ঘটানো হইয়াছিল তেমনি বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচার লইয়াও নানামুখী ষড়যন্ত্র চলিতেছে। কোন আইনে বিচার হইবে তাহা লইয়া তর্ক এড়াইতে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্টে রেফারেন্স করিয়াছেন। তাহার পরও তর্কের শেষ নাই। বিএনপি, জামাত শুরু হইতেই উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখিতেছে। তাহাদের লক্ষ্য সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীকে নানা ভাবে উস্কানি দেওয়া ও উত্তেজিত করাই তাহাদের লক্ষ্য। এক্ষণে ক্ষমতায় যাইতে হইলে, নিদেনপক্ষে হাসিনাকে হটাইতে হইলে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগাইতে হইবে। অতীতেও তাহারা সেনাবাহিনীকে তাহাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অথবা সুনির্দিষ্টভাবে বলিলে ক্ষমতা দখলের কাজে লাগাইয়াছে। সেনা প্রধান এরশাদও সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করিয়া বিএনপি সরকারকে হটাইয়া দিয়াছিল। তাহার সাত খুন মাফ হইয়া গিয়াছে। সে এখন গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী মহাজোটের অন্তর্ভুক্ত। মহাজোটের বামপন্থিরাও এক পর্যায়ে মিডিয়ার প্রশেড়বর উত্তরে বিরক্ত হইয়া বলিয়াছিলেন, এরশাদ ক্ষমা চাহিয়াছেন, ইহার পরও তাহাকে লইয়া এত বাড়াবাড়ি কেন? ইহাকেই বলে ‘পলিটিক্স’।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র’ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আনিত এক প্রস্তাবের উপর আলোচনা করিতে গিয়া শেখ হাসিনা এই কথা বলেন। তিনি বলেন, মিলিটারি ডিক্টেটররা ক্ষমতা দখল করে। রাষ্ট্র চালায়। বার বার এই ধরনের ঘটনার জন্য দেশ পিছাইয়া পড়িয়াছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোথাও কোনো নির্বাচিত সরকারকে মিলিটারি ডিক্টেটর উৎখাত করিতে পারিবে না এবং জনগণের অধিকার ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকার লইয়া ছিনিমিনি খেলা যাইবে না- জাতিসংঘের পক্ষ হইতে এমন একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হউক। শুধু বাংলাদেশেই নহে, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়াও শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রের কথা বলিয়াছেন। এমনকি ইহাও বলিয়াছেন যে এক-এগারোর শক্তিরা আবারও ফিরিয়া আসিবার ষড়যন্ত্র করিতেছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যখন আনুষ্ঠানিকভাবে এই ধরনের কথা বলেন তখন তাহাকে নিছক ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ বলিয়া উড়াইয়া দেওয়া যায় না।
ইতোমধ্যে ৪৭ জন বিডিআর সদস্যের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু ঘটিয়াছে। সংবাদপত্রে প্রকাশ বিডিআরের মহাপরিচালক বিডিআর পুনর্গঠনের জন্য নাম,পোষাক,মনোগ্রাম পরিবর্তনসহ বিভিনড়ব প্রস্তাব দিয়েছেন সরকারের কাছে। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্তের আগেই নাকি তিনি প্রস্তাবিত পোশাক পড়িয়া অফিস করা শুরু করিয়াছেন। প্রস্তাবিত নাম “বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ” নাম লিখিয়া সরকারি মহলে ঈদ কার্ড পাঠাইয়াছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলিয়াছেন,তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। স্বরাষ্ট্র সচিব বিস্ময় প্রকাশ করিয়াছেন। বিডিআর প্রধান বলিয়াছেন সরি। ব্যাস হইয়া গেল। পরে দেখিলাম সরকার প্রস্তাব গ্রহণ করিয়াছে। কিভাবে কখন কোথায় গ্রহণ করা হইল কেহ জানিল না!
সরকার প্রস্তাব গ্রহণ করিয়াছে, নাকি নিরূপায় হইয়া ঢেকি গিলিয়াছে জানিবার উপায় নাই। বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর ডালিম যখন এক বিবাহ অনুষ্ঠানে গোলযোগের জের ধরিয়া গাজী গোলাম মোস্তফার বাড়িতে সেনা সদস্যদের লইয়া চড়াও হইয়াছিলেন তখন রাগান্বিত শেখ সাহেব সেনা প্রধান শফিউল্লাকে ডাকিয়া বলিয়াছিলেন,এই তোমার সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা! ডালিমকে পরে চাকুরিচ্যুত করা হইয়াছিল বটে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বাড়িসহ সর্বত্র তাহার অবাধ যাতায়াত ছিল বলিয়া শোনা যায়। সাম্প্রতিক কালে জাপানে জনৈক উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপারে একটি মন্তব্য করিয়াছিলেন বলিয়া তৎক্ষনাৎ তাহাকে বরখাস্ত করা হইয়াছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ইরাক যুদ্ধের সময় এইরূপ ঘটনা ঘটিয়াছে। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য শৃঙ্খলাভঙ্গ করিলে বা অস্ত্রের জোরে রাজনৈতিক সরকারের বিরোধী বা সমান্তরাল কোনো অবস্থান নিলে রেহাই নাই। ‘জোর যার মুল্লুক তার’ এই নীতি বরদাস্ত করা হয় না। এইসব লইয়া সংসদ,সংসদের বাহিরে,সাংসদ এবং অন্যরা অনেক কথা বলিয়াছেন। কথা হইয়াছে। কোনো কাজ হয় নাই।
পাকিস্তানে সমাজের সর্ব পর্যায়ে মিলিটারাইজেশন হইয়াছে। সেনা বাহিনীর নিজস্ব অস্ত্রবল শুধু নহে নিজস্ব অর্থনীতিও সুদৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়াইয়াছে। তাহারা সরকারের মাথার উপর খড়গ ঘুরাইতেছে। বাংলাদেশের মানুষ আসলেই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে পাকিস্তান বাহিনীর মতো দেখিতে চাহে না। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এক মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়া গড়িয়া উঠিয়াছে। শেখ সাহেবের আমলে কর্ণেল তাহের এই সেনাবাহিনীকে ঔপনিবেশিক কাঠামো ও সংস্কৃতি হইতে মুক্ত করিয়া জনগণের বাহিনীতে রূপান্তরিত করার প্রস্তাব দিয়াছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ক্যু-দাতা ষড়যন্ত্র সম্পর্কে তিনি একটি পত্রও দিয়াছিলেন। সাম্প্রতিক তথ্য হইতে জানা যায়,শেখ সাহেবকে অপসারণের যে চক্রান্ত সেনাবাহিনীর ভিতরে চলিতেছিল তাহা বঙ্গবন্ধুকে লিখিতভাবে জানান হইয়াছিল। তবে সেই চিঠির বিষয়বস্তু শেখ মুজিব পড়িবার আগেই নাকি ষড়যন্ত্রকারীরা তাহারই অফিস হইতে জানিয়া ফেলিয়াছিল।
শেখ হাসিনা মনে হয় পিতার পথ ধরিয়াই চলিতেছেন। পত্রিকায় প্রকাশ হইয়াছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হইতে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গায়েব হইয়া গিয়াছে। তাহার চতুর্দিকে নানা সন্দেহভাজন জামাত-বিএনপি ও বিদেশি এজেন্টরা জায়গা করিয়া লইতেছে। মুক্তিযুদ্ধের গবেষক একটি মহল শেখ সাহেবের আমলে তাহার চতুর্দিকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখলকারী স্বাধীনতা বিরোধীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করিতেছেন।
আলজিয়ার্সে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনের সময় স্বয়ং ফিদেল ক্যাস্ট্রো গভীর রাতে শেখ সাহেবের রুমে গিয়া তাঁহাকে এই ব্যাপারে সতর্ক করিয়া দিয়াছিলেন। শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সতর্ক থাকিতে বলিয়াছেন,ভালো কথা। কিন্তু তিনি নিজে কি সতর্ক আছেন? কথায় বলে,ঘরের শত্রু বিভীষণ। নিজের ঘরে শত্রু রাখিয়া বা পালিয়া কিভাবে তিনি ষড়যন্ত্র ঠেকাইবেন। দেশে কি শুধু সেনা শাসনের ষড়যন্ত্র চলিতেছে? নাকি আরও নানামুখী ষড়যন্ত্র আছে!
মনে রাখা প্রয়োজন,এক-এগারোর ঘটনায় বিদেশি শক্তি জড়িত ছিল। পূর্বেই লিখিয়াছি,মাইনাস টু ফর্মুলা এক এগারোর বহুকাল আগে হইতেই চালু হইয়াছিল। সম্প্রতি ইত্তেফাক সম্পাদক সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা মইনুল হোসেন আবারও ১/১১-এর মতো ঘটনার হুমকি দিয়াছেন। বিদেশি শক্তি কি তাহাদের সব পরিকল্পনা বাদ দিয়া ভালো মানুষ হইয়া গিয়াছেন? বিদেশি রাষ্ট্রসমূহের যে সকল প্রতিনিধি ১/১১ এর সহিত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল তাহারা ঘন ঘন বাংলাদেশে আনাগোনা করিতেছেন। বন্দি অবস্থায় দেশে বিদেশে
নানা গোপন ও প্রকাশ্য আলোচনায় কি কথা হইয়াছে,কি সমাঝোতা হইয়াছে তাহা শুধুমাত্র হাসিনা,খালেদা বলিতে পারেন। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং গতবার যখন বিএনপি-জামাত সরকার ক্ষমতায় আসিল তখন বলিয়াছিলেন যে,৫০ বৎসরের স্টক নিশ্চিত না করিয়া তেল-গ্যাস বিদেশে রফতানি করিতে রাজি না হওয়ার কারণেই তাহাকে ক্ষমতায় আসিতে দেয়া হয় নাই। এই কারণেই কি তিনি তাড়াহুড়া করিয়া এবং চালাকি করিয়া রোজা-রমজানের মধ্যেই তিনটি ব-ক বিদেশিদের দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করিয়া স্বাক্ষর দিয়াছেন।
বিদেশি ষড়যন্ত্র কতপ্রকার ও কি কি শেখ হাসিনা কি তাহা জানেন! অধিকৃত দক্ষিন ভিয়েতনামে মাক্রিনিরা নগো দিন দিয়েমকে ক্ষমতায় বসাইয়াছিল। প্রয়োজন ফুরাইলে তাহাকে হত্যা করিয়াছে। পাকিস্তানের সেনা প্রধান জিয়াউল হককে ক্ষমতায় বসাইয়াছে মাক্রিনিরা। তাহাকে বিমান দুর্ঘটনায় হত্যা করার পিছনে তাহারাই কাজ করিয়াছে। এমনকি জিয়াউল হকের বিমানে হঠাৎ করিয়া উঠিয়া বসা মাক্রিন রাষ্ট্রদূতকে হত্যা বা সেক্রিফাইস করিতেও তাহারা দ্বিধা করে নাই। ফিলিপিনে মার্কোসকে ক্ষমতায় বসাইতে যেমন তাহাদের ভূমিকা ছিল,বিশাল গণসংগ্রামের মুখে ‘শান্তিপূর্ন’ভাবে মার্কোসকে সরাইয়া নিতেও তাহারা কলকাঠি নাড়িয়াছিল। বাংলাদেশে এরশাদকে ক্ষমতায় বসাইতে যেসব বিদেশি শক্তি ভূমিকা রাখিয়াছিল তাহারাই তাহাকে সরাইবার ব্যাপারেও ভূমিকা রাখিয়াছে। ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দামকে,কমিউনিষ্ট নিধন অথবা ইরানকে আক্রমন করিবার জন্য আমেরিকা মদদ দিয়াছিল। তাহাকে হত্যা করিয়াছে বুশ সরকার।
আওয়ামী লীগের জলিল সাহেব নির্বাচন হইয়া যাইবার বহু পরে অভিযোগ তুলিয়াছেন নির্বাচন পূর্ব সমঝোতার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসিয়াছে। প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে তিনি নাকি বলিয়াছেন ডিজিএফআই-র নির্যাতনের পর তাহার মানসিক সমস্যা দেখা দিয়াছে। নানা আজেবাজে কথা বলিতেছেন। সমঝোতা কি আগে হয় নাই? মেনন সাহেব,ইনু সাহেবরাও তো ৫ দলীয় জোটে থাকিতে শেখ হাসিনার সহিত এরশাদের সমঝোতার বিষয়ে অভিযোগ করিয়াছিলেন। জিয়াউর রহমানের সময়ও অনুরূপ অভিযোগ উঠিয়াছিল।
বিদেশি শক্তি শাখের করাতের মতো,যাইতেও কাটে আসিতেও কাটে। তেল-গ্যাস জাতীয় সম্পদ লইয়া তাহারা বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ দিতেছে। সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করিয়া হাসিনা স্বাক্ষর করিয়া দিলেই হাসিনার গদি মজবুত হইয়া যাইবে! বিষয়টি কি এতই সরল? আর একটি দিকও কি খেয়ালে রাখা উচিৎ নহে! শেখ হাসিনা সরকার বিতর্কিত হইয়া উঠিবে, জনসমর্থন হ্রাস পাইবে,দুর্বল হইয়া পড়িবে। সাম্রাজ্যবাদীদের কাছেও তাহার প্রয়োজন ফুরাইয়া যাইবে। তাহারা তখন অন্য লোক খুঁজিবে। নানাভাবে কলকাঠি নাড়াইবে। টিপাইমুখ,ট্রানজিট,কানেক্টিভিটি ইত্যাদি লইয়াও অনুরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হইবে।
আঞ্চলিক পরিস্থিতি বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হইয়া উঠিতেছে। আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করার পরও সেখানকার পরিস্থিতি কাহারও নিয়ন্ত্রণে নাই। পাকিস্তানে সংঘাতময় ও নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি বিরাজ করিতেছে। সাম্প্রদায়িক জঙ্গি শক্তি ক্রমশ বেপরোয়া হইয়া উঠিতেছে। সম্প্রতি সাউদি যুবরাজের কাছে আত্মসমর্পনের অজুহাতে দেখা করিতে আসা এক যুবক কয়েকটি বিমান বন্দরের নিরাপত্তা এবং রাজপ্রাসাদের তিনটি নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করিয়া দেহের ভিতরে সংরক্ষিত বোমার বিস্ফরণ ঘটাইয়াছে। বোমা বহনের এই নতুন প্রযুক্তি সারা বিশ্বে আতঙ্কের সৃষ্টি করিয়াছে। নিরাপত্তার জন্য মেটাল ডিটেক্টরে উহা ধরা পড়ে না। দেহ তল্লাশিতেও ধরা যায় না। এ ধরনের প্রযুক্তি বাংলাদেশ বা ভারতে পৌঁছাইতে কতক্ষণ! ভারত-মার্কিন ও ইসরাইলের আঁতাত ভারতসহ এই অঞ্চলের দেশগুলির জন্য বিপজ্জনক হইয়া উঠিয়াছে। ভারত ও পাকিস্তান দক্ষিণ-এশিয়ার পারমাণবিক শক্তি। ভারত বিপুল পারমাণবিক ভান্ডারের অধিকারী। ভারত-মার্কিন পারমাণবিক চুক্তি ভারতকে আরও বেশি শক্তিধর করিয়া তুলিবে। ২২টি সিভিলিয়ান রিপ্র্যাক্টর-এর মধ্যে ১৪টিতে আন্তর্জাতিক তদারকি থাকিবে। বাকি ৮টিতেই সমরাস্ত্র উপযুক্ত প্লুটোনিয়াম প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব যাহা দ্বারা প্রতি বৎসর অতিরিক্ত ১০০ আণবিক বোমা প্রস্তুত সম্ভব। স্ট্র্যাটেজিক ঐক্যের কারণে ভারতকে ক্রমেই তার সমরাস্ত্রের বেশির ভাগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিকট হইতে ক্রয় করিতে হইবে। ভারতের সামরিক স্থাপনাগুলিতেও মার্কিনিদের তদারকি বৃদ্ধি পাইবে। সামরিক পরাশক্তি হইবার উদগ্র বাসনায় সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক ব্যয় কমিয়া আসিলে ভারতের জনজীবনে সঙ্কট আরও ঘনীভূত হইবে। ভারতে দারিদ্র,ক্ষুধা,বেকারত্বের সমস্যা বাংলাদেশের চাইতে কোনো অংশে কম নহে। জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তিও সেখানে ভয়ঙ্কর সব ঘটনা ঘটাইয়াছে। উহা বাংলাদেশের চাইতেও বেশি বৈ কম নহে। মার্কিনিরা এই অঞ্চলে তাহাদের আধিপত্য বিস্তার করিতে এবং চীন-মায়ানমারকে ঘিরিয়া ফেলিতে ভারতকে ব্যবহার করিতে চাহে। ভারত,চীন,মায়ানমার সীমান্তে উভয়পক্ষের বিপুল সেনা মোতায়েন আশঙ্কাজনক পর্যায়ে গিয়াছে। এই ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশকেও গুটি হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা হইবে। বাংলাদেশকে প্রক্সি-ওয়ারের জন্য ব্যবহার করিবার প্রচেষ্টা থাকিবে। মনে হয়,তাহারই নানা আয়োজনের আভাস পাইতেছি। বাংলাদেশের নিকট তেমন কোন অপশন বা বিকল্প নাই। রাস্তা অনেক সরু ও আঁকবাকা। পিছলাইয়া পরিলে অতল গহ্বরে।
শেখ হাসিনা নৌকার হাল ধরিয়াছেন বটে তবে আব্বাসউদ্দীনের গানের ভাষায় বলিতে হয়
‘একে আমার জীর্ণ তরী
তাতে আবার করল চুরি
মুখে বলে হয় কি করি
অন্তরে শয়তানি।
ঐ ছয়জনা যুক্তি করে আমার সাধের নৌকা ডুবাইছে
কেমনে পার হ’ব এক্ষণি।
দিনার দিন বইসা রে দিন গুনি।’
দিন বদলের কথা বলিয়া আজ শেখ হাসিনা শুধুই দিন গুনিতেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার,বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার, সিপিবি সমাবেশে বোমা হামলার বিচার কোথায়? দলের ভিতরে সঙ্কট। মন্ত্রীরা একজন বলেন ইয়েস, আর একজন বলেন নো,আর একজন বলেন ভেরিগুড। তদুপরি ছাত্রলীগের উপর টেন্ডারবাজি,চাঁদাবাজি সন্ত্রাসের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিপত্রের দাম বাড়িতেছে। চিনির দাম আকাশচুম্বী। শেখ হাসিনা গণতন্ত্র রক্ষা করিতে বলিতেছেন নাকি তাহার সরকারকে রক্ষা করিতে বলিয়াছেন! গণতন্ত্র কোথায়? তেল-গ্যাসের মিছিলে কি হইল,কিভাবে ক্রসফায়ার হইতেছে,কিভাবে রাজধানীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি দখলের জন্য অপহরণ ও ধর্ষণ হইতেছে। গাইবান্ধায় কমরেড আব্দুল্লাহকে হত্যা করা হইয়াছে,সত্যবান হাজং-এর হত্যকারী ওয়ারেন্ট লইয়া সরকারি দলের হেফাজতে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাইয়া কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় নাই। হত্যাকারীরা স্বাক্ষীদের অপহরণ করিয়া দৈহিক নির্যাতনকরিতেছে। গাইবান্ধা সিপিবি নেতৃবৃন্দের ওপর নির্যাতন চলিতেছে। গফরগাঁয়ে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন অব্যাহত আছে। খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, সন্ত্রাসবৃদ্ধি পাইতেছে। ঘুষ, দুর্নীতি আরও শক্তিশালী হইয়া জনগণের উপর সওয়ার হইয়াছে। ঈদের আগে ঘোষণা করা হইয়াছিল এক কোটি বিশ লক্ষ লোককে দশ কেজি করিয়া চাউল দেওয়া হইবে। কয়জন দশ কেজি পাইয়াছে একটু খোঁজ নিয়া দেখুন। শেখ হাসিনা জনগণকে সজাগ থাকিতে বলিয়াছেন। জনগণকে সহযোগিতা করিতে বলিয়াছেন। কীভাবে সহযোগিতা করিবে? কীভাবে সজাগ থাকিবে? শেখ হাসিনাকে সরাসরি জনগণের কাছে যাইতে হইবে। তার দলে,দলের বাহিরে,দেশে-বিদেশে কাহারা বাধা দিতেছে খোলাখুলি বলিতে হইবে। ষড়যন্ত্রকারীরা তাহার ভাসুর নহে যে,মুখে নাম লওয়া যাইবে না। নাম না লইলেও ইঙ্গিতে কি বলেন তাহা বুঝিবার ক্ষমতা ভাসুরের আছে। আপনি জনগণকে বলুন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচন্ড যেমন বলিয়াছেন,দেশি-বিদেশি কে বা কাহারা আবারও নেপালকে ধর্মীয় রাষ্ট্র বানাইতে চায়,প্রজাতন্ত্র হইতে রাজতন্ত্রে ফিরিতে চায়। আপনি খোলাখুলি বলুন। জনগণ রুখিয়া দাঁড়াইবে।
শেখ হাসিনা যদি দেশি-বিদেশি ভাসরদের পিঠ চাপড়াইয়া তোষামদ ও ব্যালেন্স করিয়া টিকিয়া থাকিতে চাহেন,তাহা হইলে তাহাকে বঙ্গবন্ধর কথা স্মরণ করিতে বলিব। শেখ সাহেব বহু মানষের পিঠ চাপড়াইয়াছিলেন। বিপদের সময় কেহ তাহার পাশে দাঁড়ায় নাই। সেনা আক্রমণের মখে তিনি অনেককে ফোন করিয়াছিলেন। কেহ তাহার ডাকে সাড়া দিয়া কাছে আসেন নাই। প্রথম আলোতে প্রকাশিত মার্কিন যক্তরাষ্টের কিছ সরকারি দলিল সম্পর্কে সিরিজ লেখা পড়–ন। কাহাকে বঙ্গবন্ধ শেষ মহর্তে ফোন করিয়া বলিয়াছিলেন ...রে আমি বোধ হয় বাঁচিলাম না। টেলিফোনের অপর প্রান্ত হইতে উত্তর আসিয়াছিল, লিডার আমি আসিতেছি। সেই ব্যাক্তি টেলিফোন রাখিয়া সোজা বাড়ির পাশের একটি কটনৈতিক ভবনে যাইয়া আশয় লইয়াছিলেন। হ্যাঁ,একজন গিয়াছিলেন। গর্ভবতী স্ত্রীর নিষেধ সত্তেও কর্তব্যের ডাকে কর্ণেল জামিল ধানমন্ডীর ৩২ নম্বর বাড়িতে ছুটিয়া গিয়াছিলেন। ঘাতকরা তাহাকেও হত্যা করিয়াছে।
শেখ হাসিনা শুনিয়া রাখুন আপনার চরম বিপদে আপনার চাটুকার চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসী, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, দলবাজ কেহ আপনার সহিত থাকিবে না। থাকিবে আপনার কিছু সত্যিকার কর্মী এবং জনগণ। সেই জনগণকে ভালো রাখিতে হইবে। তাহাদের সমস্যা যেন বৃদ্ধি না পায়, সমস্যাগুলি ক্রমান্বয়ে সমাধান হয়। যাহারা জনগণের মন্দ করে তাহাদিগকে দমন করিতে হইবে। স্থানীয় সরকার হইতে শুরু করিয়া সর্বপর্যায়ে দল নহে, জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করিতে হইবে। সভা-সমাবেশ, মিছিল, প্রতিবাদ, সমালোচনা, শ্রমিক ও গণআন্দোলন দমন ও কণ্ঠরোধ না করিয়া বরং সমালোচনা হইতে শিক্ষা লইয়া নিজেকে সংশোধন করুন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন বলিয়াছিলেন, Government of the people, by the people, for the people. হায় এখন লিঙ্কন নহে আমাদের হানিফ সংকেতের সংজ্ঞাই সঠিক মনে হইতেছে। তিনি ইংরেজি বানানের হেরফের করিয়া বলিয়াছেন Government off the people, buy the people, fore the people. অর্থাৎ এখনকার গণতন্ত্রে জনগণ অফ (off) হইয়া যায়, জনগণকে ক্রয় (bye) করিতে হয় (তথাকথিত মাথাগুলিকে) এবং জনগণকে পিছনে ফেলিয়া সামনে (fore) থাকিতে হয়।

“দিনার দিন দিন ফুরাইল শুকনাতে তরনী/
দিনার দিন বইসারে দিন গুনি।”
আর কত দিন গুনিবেন শেখ হাসিনা। শত্রুরা নানা দিক দিয়া তৎপর হইয়া উঠিয়াছে। তাহারা বেপরোয়াও বটে।

No comments: